বিটরুট ভেষজ শরবত (beetrootdrinks.com) স্বাগতম। আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সেরা প্রাকৃতিক, পুষ্টিকর, এবং সুস্বাদু বিটরুট-প্রাকৃতিক ভেষজ যা ‘চিনি মুক্ত ষ্টেভিয়া যুক্ত’ ১৫ টিরও অধিক প্রাকৃতিক উপাদানের‌ স্প্রে ড্রাইড পাউডার মিশ্রিত বাংলাদেশের একমাত্র ভেষজ শরবত “বিটরুট ভেষজ শরবত”।

আমাদের লক্ষ্য হল প্রাকৃতিক ভেষজ দিয়ে আপনার শরীরের প্রাণশক্তিকে উজ্জীবিত করে এমন পণ্য তৈরি করে সুস্থতাকে সহজ এবং উপভোগ্য করে তোলা।

বিটরুট-স্টেভিয়া অর্গানিক ভেষজ শরবত প্রতিদিন এক গ্লাস পান করার উপকারিতা গুলো জেনে নিনঃ

• পানি শূণ্যতা, পিপাসা লাগা, ক্লান্তিভাব, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, ঘুম ঘুম ভাব দূর করে শরীর ঝড়ঝড়া ও মন ভালো রেখে কর্মক্ষমতা উন্নতি করে।
• বিটরুট ভেষজ শরবত পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, উপর দিকে গ্যাস ওঠা, টক ঢেঁকুর ওঠা, জিহ্বা টক ও তিতা হওয়া, পেট ফুলে ফেঁপে থাকা, বুক জ্বলা, পেট ভুটভাট করা, ডায়রিয়া ও আইবিএস নিয়ন্ত্রণ করে খাবারের রূচি বৃদ্ধি করে।
• এই অর্গানিক শরবতে থাকা স্টেভিয়া, চিনি বা মিষ্টতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তাই ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরেল ও স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করে।
• বিটে থাকা লুটেইন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
• এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
• বিটে আছে টালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ, যা প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে।
• এটি শতভাগ প্রাকৃতিক তাই সেবনে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

বিটরুট-স্টেভিয়া অর্গানিক ভেষজ শরবত এর প্রাকৃতিক উপাদান সমূহঃ

বিটরুট ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ‘জিপ ফাইল’। এতে আছে ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম, যা হাড় ও পেশিকে রাখে সুস্থ–সবল। এ ছাড়া এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি। ফাইবার বা আঁশ ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টড়। এজন্য বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। এটি শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ কমায়, মস্তিষ্ক ও চোখ সুস্থ রাখে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।

স্টেভিয়াঃ স্টেভিয়া গাছ প্রাকৃতিক মিষ্টতা, চিনির থেকেও ৩০০ গুন বেশি মিষ্টি কিন্তু এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটা ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করে। লিভার সুস্থ রাখে, ত্বক টানটান করে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

অর্জুনঃ হার্টকে সুস্থ রাখে হজমে সহায়তা করে।

মরিঙ্গাঃ শজনেগাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। এ জন্য গবেষকেরা শজনপাতাকে ‘নিউট্রিশনস সুপার ফুড’ উপাধি দিয়েছেন, একই সঙ্গে শজনেগাছকে বলা হয় মিরাকল ট্রি।

চিয়া সিডঃ চিয়া সিডে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান আছে। এতে থাকা ওমেগা-৩ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শরীরে শক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

মেথিঃ মেথি গ্যাস, বদহজম এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়, ত্বক পরিষ্কার থাকে, ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা হ্রাস পায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। মেথি ভেজানো পানি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত গ্যালাক্টোম্যানান নামক উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

বেলঃ বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং বলবর্ধক। নিয়মিত বেল খেলে শরীর ক্যানসার প্রতিরোধী শক্তি বেড়ে যায়। বেল খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করার পাশাপাশি শরীরকে শীতল রাখে। এ ছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, যক্ষ্মা, অপুষ্টিতেও ভালো কাজে আসে এই বেল। তাই গরমের এই সময় সকালে নিয়মিত খেতে পারেন বেল অথবা বেলের শরবত।

ইসবগুলের ভুসিঃ ইসুবগুলের ভুসি নিয়মিত খেলে হার্ট ভালো থাকে। কারণ এতে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে এক ধরনের পাতলা স্তর সৃষ্টি করে। যা খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়; বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

হজম কারক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

পুদিনাঃ পুদিনার পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি আর বি – কমপ্লেক্স। যা ত্বকের যত্নে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত জরুরি উপাদান। এছাড়াও এই পাতায় মেলে লৌহ, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ উপাদানগুলো রক্তে ‘হিমোগ্লোবিন’য়ের মাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অটুট রাখে।

অ্যালোভেরাঃ ত্বকের দাগ, ব্রণ, এবং শুষ্কতা দূর করতে অনেক কার্যকরী । হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। এই মিশ্রণ আদতে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই।

• আমলকি: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফল পেটের সমস্যা দূর করে। …
• হরিতকি: এতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
• বহেরা: এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

লেবুঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লেবুতে একগুচ্ছ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখার জন্য বেশ কার্যকরী।

লবনঃ পিংক সল্ট সাধারণত ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, পেট খারাপ ইত্যাদি সহ পেটের নানান সমস্যা দূর করে। এই লবণে থাকা খনিজগুলো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরে। যা কিনা শরীরের খারাপ সকল ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

এগুলো সহ মোট ১৫ টির অধিক প্রাকৃতিক উপাদান মিশ্রিত আছে।

বিটরুট ভেষজ শরবত পান করার সেবন বিধিঃ

এক গ্লাস পানিতে বৈয়মের সাথে থাকা চামচ দিয়ে দু-চামচ বিটরুট-স্টেভিয়া ভেষজ পাউডার মিশিয়ে পান করুন। তৈরিকৃত তরল শরবত ফ্রিজে রেখে ছেঁকে বা তলানিতে জমা ভেষজ ফাইবার সহ পান করতে পারবেন।

Beetroot Drinks টি কী চিনি গুড় বা অন্য কোন মিষ্টি জাতীয় কেমিক্যাল মেশানো?

না, মোটেও নয়, Beetroot Drinks শরবতটি শুধু বিটরুট নয়, এটি ১৫ টিরও বেশি প্রাকৃতিক উপাদানের স্প্রে ড্রাইড পাউডারের মিশ্রণে তৈরি বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ভেষজ শরবত। যাতে প্রাকৃতিক মিষ্টতা স্টেভিয়া গাছের পাউডার, শরবত মিষ্টি করার জন্য মেশানো হয়েছে।

আপনি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে বিটরুট ভেষজ শরবত নির্বাচন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. আমরা আপনার সুস্থতা সুস্বাস্থ্য কামনা করি!